শতবছরের রাজনীতি - পৃষ্ঠা নং-১৭
- Details
- Category: Sample Data-Articles
- Published on Sunday, 29 July 2012 07:46
- Written by Super User
- Hits: 4288
- শতবছরের রাজনীতি
- পৃষ্ঠা নং-২
- পৃষ্ঠা নং-৩
- পৃষ্ঠা নং-৪
- পৃষ্ঠা নং-৫
- পৃষ্ঠা নং-৬
- পৃষ্ঠা নং৭
- পৃষ্ঠা নং-৮
- পৃষ্ঠা নং-৯
- পৃষ্ঠা নং-১০
- পৃষ্ঠা নং-১১
- পৃষ্ঠা নং-১২
- পৃষ্ঠা নং-১৩
- পৃষ্ঠা নং-১৪
- পৃষ্ঠা নং-১৫
- পৃষ্ঠা নং-১৬
- পৃষ্ঠা নং-১৭
- পৃষ্ঠা নং-১৮
- পৃষ্ঠা নং-১৯
- পৃষ্ঠা নং-২০
- পৃষ্ঠা নং-২১
- পৃষ্ঠা নং-২২
- পৃষ্ঠা নং-২৩
- পৃষ্ঠা নং-২৪
- পৃষ্ঠা নং-২৫
- পৃষ্ঠা নং-২৬
- পৃষ্ঠা নং-২৭
- পৃষ্ঠা নং-২৮
- পৃষ্ঠা নং-২৯
- পৃষ্ঠা নং-৩০
- পৃষ্ঠা নং-৩১
- পৃষ্ঠা নং-৩২
- পৃষ্ঠা নং-৩৩
- পৃষ্ঠা নং-৩৪
- পৃষ্ঠা নং-৩৫
- All Pages
তদুপরি মাতৃভাষার স্থান হবে উর্দু ও ইংরেজির পশ্চাতে। এ কারণেই মাতৃভাষার অস্তিত্ব ও সম্মান টিকিয়ে রাখতে হবে। খাজা নাজিমউদ্দিনের ঘোষণার প্রতিবাদে ৩০ জানুয়ারি ধর্মঘট পালিত হয়। ছাত্রদের সর্বদলীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ২১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে হরতাল পালিত হবে। সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, শফিুউর রহমান, রফিক, সালামসহ আরো কয়েকজন। জানা যায় অনেকের লাশ গুম করা হয়। অনেকে গুলি ও লাঠির আঘাতে আহত হন। অনেকে গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। ঢাকা বেতার কেন্দ্রের কর্মচারীরা বের হয়ে আসে। দোকানপাট ও রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারা দেশব্যাপী খবর বিস্তার লাভ করে। পরের দিন ঢাকাসহ দেশের মফস্বল শহরে মিছিল, মিটিং, শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় সৈনিক ও আজাদ পত্রিকা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ভাষা আন্দোলন প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন রাজবাড়ির কয়েকজন শিক্ষক, ছাত্রনেতা, সরকারি কর্মচারী। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড, কাজী মোতাহার হোসেন (বাগমারা,পাংশা), অধ্যাপক আব্দুল গফুর (দাদপুর, বেলগাছি), আবদুল ওয়াজেদ চৌধুরী (কাঁটাখালি, বরাট) সামসুল আলম (রাজবাড়ি), হামিদুল হক ভোলা মিয়া (সজ্জনকান্দা, রাজবাড়ি), বদরুদ্দোজা টুকু মিয়া (সূর্যনগর, রাজবাড়ি), মুন্সি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (পাতুরিয়া, পাংশা)। রাজবাড়ির ভাষা সৈনিকদের পরিচিতি যথাস্থানে আলোচিত।
২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিরাপরাধ ছাত্র ও জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে রাজবাড়ি শহর ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ছাত্র জনতা একেএম আসজাদ, সমর সিংহ, আবুল কাশেম মৃধা, হাবিবুর রহমান প্রমুখ এর নেতৃত্বে ২৪ ফেব্রুয়ারি ৬/৭ হাজার মানুষ আজাদী ময়দানে সমবেত হন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তারা ডানলপ হলে (বর্তমান চিত্রা হল) মিলিত হন। এ প্রসঙ্গে সৈনিক পত্রিকা ১৯৫২-১৬ মার্চ প্রতিবেদনে-----
‘২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঢাকার নিরীহ ও নিরপরাধী ছাত্র ও জনসাধারণের উপর পুলিশের অমানুষিক গুলিবর্ষণের সংবাদ এই মহকুমায় মাত্র প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মহকুমার সর্বত্র স্কুল ও হাট বাজার বন্ধ রাখা হয়। প্রায় ৭/৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও জন সাধারণ শোকযাত্রার সহিত বিক্ষোভ করিতে করিতে বিভিন্ন দিক হইতে আসিয়া রাজবাড়ি আজাদী ময়দানে সমবেত হয়। বেলা বার ঘটিকার সময় উক্ত আজাদী ময়দান হইতে শোভাযাত্রা সহকারে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, পুলিশী জুলুম চলবে না, বন্দি ছাত্র ও জনগণের মুক্তি চাই, অপরাধী কর্মচারীদের কঠোর শাস্তি চাই ইত্যাদি ধবনি করিয়া বিক্ষোভ করিতে করিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে এবং বেলা তিন ঘটিকায় রাজবাড়ি ডানলপ হলে আবুল কালাম মোহাম্মদ আসজাদ - এর সভাপতিত্বে এক সভা হয়। সভায় নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলি গৃহীত হয়-----
১। এই সভা ঢাকায় নিরীহ ছাত্র ও জনগণের প্রতি পুলিশের বর্বরোচিত গুলি চালনা ও জঘন্যতম জুলুমবাজীর তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছে।
২। এই সভা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি নিয়োগ করিয়া উক্ত জঘন্যতম কাজের জন্য দায়ী ও অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির বিধানে দাবি জানাইতেছে।
৩। এই সভা অচিরে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে গ্রহণ করিবার জন্য দাবি জানাইতেছে।