সঙ্গীত ও নৃত্য - পৃষ্ঠা নং-১২
- Details
- Category: Sample Data-Articles
- Published on Tuesday, 07 August 2012 13:55
- Written by Super User
- Hits: 2052
তাঁকে আহবায়ক করে গড়ে ওঠেছে ‘শিল্পী রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ। তিনি রাজবাড়ি নারী অধিকার ও নারী চেতনার নেত্রী। রাজবাড়ি মহিলা পরিষদের সভাপতি। সাহিত্য সাধনার ক্ষেত্রে জাতীয় পত্র পত্রিকায় জ্ঞানগর্ভ লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি সুবক্তা এবং আলোচক। রাজবাড়ির সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে নানা কর্মের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে চলেছেন।
প্রফেসর সৈয়দ আশরাফ আলী হাসু
বিগত শতকের ষাটের দশকের শেষে রাজবাড়ির সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সৈয়দ আশরাফ আলী, সৌমেন পালসহ আরো অনেকে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর নামের আড়ালে হাসু নামটি মুখে মুখে উচ্চারিত হত। যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁকে উপস্থিত ও দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যেত। তিনি শতদল, কচিকাঁচার মেলাসহ কয়েকটি নাট্য সংগঠন গড়ে তোলেন। শতদল সংগঠনের মাধ্যমে তিনি ঝিমিয়ে পড়া অঙ্গনে প্রাণ সঞ্চার করেন। কেবল সংগঠনই সৃষ্টি করেন না, স্বরচিত গানে নিজেই সুর এবং কণ্ঠ দিতেন। তিনি রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবন থেকেই রাজবাড়ি কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেন। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনকে সংগঠিত করে গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দেন। এ সময় গণসঙ্গীতের মাধ্যমে আন্দোলনকে বেগবান করেন। একজন সফল শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ। পদার্থ বিজ্ঞানে অগাধ পাণ্ডিত্য। বিভিন্ন সরকারি কলেজে চাকরি করেন। রাজবাড়ি সরকারি মহিলা আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন ভালো আবৃত্তিকার এবং কবিতা প্রেমিক। সৈয়দ আশরাফ আলী হাসু রাজবাড়ি সজ্জনকান্দায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করেছেন।
এম গোলাম মোস্তফা
মোঃ গোলাম মোস্তফা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক পরিচিত নাম। গীতিকার ও সুরকার। নিজের লেখা কবিতার সংখ্যা কয়েকশত। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সম্পাদনায় সাময়িকী প্রকাশিত হয়। নিজে মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ এবং লেখা রাজবাড়ির মুক্তিযুদ্ধের দলিল বলে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আকর্ষণীয়। প্রকৃতিপ্রেমিক এমজি মোস্তফা নিজ বাসা ও বিসিক নগরীতে গড়ে তুলেছেন নার্সারী। ফুল, ফলসহ তিনি শত প্রজাতির গোলাপ ফুটিয়েছেন এসব নার্সারীতে। শিশু একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমীসহ নানা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। জেলা প্রশাসন ও নানা প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত জাতীয় দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে থাকেন। প্রতিবছর বৃক্ষমেলার আয়োজনে বিশেষভুমিকা রাখেন এবং একটানা দশ বছর প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি সমাজ ও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। স্বাধীনতা উত্তরকালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি কারারুদ্ধ হন। দারিদ্র ও জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাতে তিনি ভেঙ্গে পড়েন না। নানাভাবে তিনি সংস্কৃতি সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে বিভিন্ন আঙ্গীকের ৪১ টি গান নিয়ে স্বরলিপিসহ ‘কিছু কথা কিছু গান’ এবং ২১টি গান নিয়ে স্বরলিপিসহ ‘বুনোফুল’ নামে দু’টি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করলেও অর্থাভাবে প্রকাশ করতে পারছেন না। তাঁর গান কবিতার সংখ্যা দুই হাজারের অধিক এবং বিলুপ্ত প্রায় লোকজ সংগীত, কবিতা ও উপন্যাস সংগ্রহে রয়েছে।